নদিয়া জেলার ব্লকে ব্লকে ডেপুটেশন

 

 

প্রতীকি ছবি

লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহ, স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই সরববাহ, সব ধরনের ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ, ভিন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা, চাষিদের বিনামূল্যে সার-বীজ-কীটনাশক সরবরাহ করার দাবিতে ৩ এপ্রিল বারুইপাড়া লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে তেহট্ট-২বিডিও-কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ১১ এপ্রিল কালিগঞ্জ বিডিওর কাছে দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়েদাবি জানানো হয়, মাথাপিছু ১২ কেজি চাল ও প্রতি মাসে ৮ কেজি গম, বিনামূল্যে সমস্ত মানুষকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার, কৃষিঋণ মকুব ও চাষের জন্য বিনামূল্যে সার-বীজ-কীটনাশক দেওয়ার। দলের শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ত্রাণের দাবিতে ১৫ এপ্রিল কৃষiরনগর-১ বিডিওকে ডেপুটেশন দেয়। বিডিও ত্রাণ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।

শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা সম্ভাবনাযুক্ত এক জনকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করান। পরে পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সেদিনই সমস্ত ডাক্তার ও নার্স পিপিই-র দাবিতে হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ দেখান। ১৭ এপ্রিল জেলাশাসককে দলের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দিয়ে দাবি জানানো হয়, অবিলম্বে হাসপাতাল স্যানিটাইজড করতে হবে, ওই রোগীর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ডাক্তার এবং নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে, হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই দিতে হবে ও জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

দলের জেলা কমিটির সদস্য কমল দত্তের উদ্যোগে দিশারী সাধারণ পাঠাগারের পক্ষ থেকে ১০ এপ্রিল ৫২টি পরিচারিকা পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।