দিল্লির ধর্ষক-খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি এআইএমএসএস-এর

আবারও এক নাবালিকা কন্যা ভয়াবহ ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারাল দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী ৭৫ বছরের স্বাধীনতা উৎসবের আগে দেশের মেয়েদের জন্য বাণী দিচ্ছেন। আর তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিচালনায় থাকা দিল্লি পুলিশের নাকের ডগায় ৯ বছরের এক কন্যাকে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির পুরনো নাঙ্গাল গ্রামের শ্মশানের পুরোহিত এবং তার শাগরেদরা শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, দেহটা পুড়িয়ে দিয়েছে সব প্রমাণ লোপাটের জন্য। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীন দিল্লি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেও এফআইআর পর্যন্ত করেনি। খোদ রাজধানীর উপকণ্ঠে এই ভয়াবহ ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।

কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতা ও ধর্ষণকারীদের সাথে মিলে পুলিশ চেষ্টা করছে ঘটনাটিকে ‘ইলেকট্রিক শকে’ মৃত্যু বলে চালাতে। যদিও মৃত বালিকাটির মা সহ পরিবারের সদস্যরা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন তাঁদের কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া উত্তরপ্রদেশের হাথরসে বিজেপি সরকারের পুলিশ ঠিক একইভাবে নির্যাতিতা কন্যার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছিল চুপিসারে। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে সারা দেশে। এই পাশবিক হত্যা এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে এআইএমএসএস ৬ আগস্ট সারা ভারত প্রতিবাদ দিবস পালন করে। সেদিন সারা দেশ জুড়ে মহিলারা স্লোগান তোলেন ‘শিশুকন্যাদের রক্ষা করো’, ধর্ষক খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি চাই’, ‘ভার্মা কমিশনের সুপারিশ কার্যকরী করতে হবে’। দাবি ওঠে, অশ্লীল ফিল্ম-পত্রপত্রিকা-বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে হবে, মদ ও মাদকদ্রব্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এ দিন কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ছবি মহান্তি দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ৩ সংখ্যা