ত্রিপুরা বিধানসভা উপনির্বাচনে দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এস ইউ সি আই (সি)

 

২০২৩-এর শুরুতেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক আট মাস আগে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। এই উপনির্বাচনে এসইউসিআই(সি) দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ত্রিপুরায় একটানা ২৫ বছর সরকারে ছিল সিপিএম। ওই সময় পুঁজিপতি শ্রেণির স্বার্থে জনবিরোধী নীতি নেওয়া, প্রশাসনকে দলদাসে পরিণত করা এবং প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি প্রসারের ফলে জনমনে সিপিএম বিরোধী মানসিকতা তৈরি হয়েছিল। তারই সুযোগে বিজেপি রাজ্যে কোনও সংগঠন না থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস ও সিপিএম নেতা-কর্মীদের ভাঙিয়ে এনে আইপিএফটি-র সঙ্গে জোট করে ২০১৮-র নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে। গত নির্বাচনের আগে বিজেপি দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন, বেকারদের চাকরি সহ বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গত চার বছরে সে-সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা দূরে থাক, রাজ্য জুড়ে নেমে এসেছে অরাজকতা, তোলাবাজি, বাইক বাহিনীর সন্ত্রাস, বিরোধী দলগুলির উপর আক্রমণ এবং অফিস ভাঙচুর, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর হামলা ইত্যাদি। মূল্যবৃদ্ধি, ভয়াবহ বেকারি, অভাব-অনটনে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। খাদ্য শিক্ষা স্বাস্থ্য সহ প্রতিটি ক্ষেত্র বিপর্যস্ত। বিশুদ্ধ পানীয় জলটুকু পর্যন্ত মানুষ পাচ্ছে না। শ্রমজীবী মানুষের কোনও কাজ নেই, রেগার কাজ পর্যন্ত বন্ধ। কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছে না। সরকার রাজ্যকে নেশামুক্ত করার স্লোগান তুললেও গোটা রাজ্যই কার্যত নেশার কবলে। খুন ও ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা।

এই রকম পরিস্থিতিতে সিপিএম সহ অন্যান্য দলগুলি জনস্বার্থে তেমন কোনও আন্দোলন গড়ে তুলছে না। সাধারণ মানুষ অসহায় ভাবে নিরাপত্তাহীন দিন কাটাচ্ছে। এস ইউ সি আই (সি) তার নিজস্ব শক্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলছে। এই পরিস্থিতিতেই আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে এস ইউ সি আই (সি) উপনির্বাচনে ২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ৬-আগরতলা কেন্দ্রে কমরেড মলিন দেববর্মা এবং ৮-টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে কমরেড শিবানী ভৌমিক দলের প্রার্থী হিসাবে টর্চ চিহ্ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এই দুই প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা ১৭ জুন ২০২২