ডি এঃ আন্দোলন দমনে সরকারের পদক্ষেপ স্বৈরাচারী

ডিএ-র দাবিতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা যে কর্মবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা করে এস ইউ সি আই (সি)-র রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ১৯ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন, এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের অনেক কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পূজারী সাজেন, অথচ তাঁর সরকার ডি এ-র দাবিতে যুক্ত আন্দোলন দমনে কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করল।

সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের যৌথমঞ্চ কয়েক সপ্তাহ ধরে শহিদ মিনার চত্বরে ধরনা দিচ্ছে এবং সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তাঁরা ২০-২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এতে অন্যায় কোথায়? এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন যেখানে নেই সেখানে রাজ্য সরকার সাধারণ ধর্মঘট দমনে যে ধরনের স্বৈরাচারী পদক্ষেপ নেয় তা এ ক্ষেত্রেও গ্রহণ করে তাদের স্বৈরাচারেরই প্রমাণ দিল। আমরা সরকারের এই জনবিরোধী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছি এবং এখনই তা প্রত্যাহার করার দাবি করছি।

আমরা এ-ও লক্ষ করছি, আন্দোলন দমনে সরকারের যত তৎপরতা তার সামান্য পরিমাণও শূন্যপদ পূরণে, শিক্ষক ও নার্সদের নিয়োগ সহ দুর্নীতি দমনে দেখা যাচ্ছে না। বরং তা আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এমনকি কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে তা প্রকাশ্যে আনছে না এবং নিয়োগ নিয়েও কোনও পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছে না সরকার। শিক্ষক পদে যোগ্য প্রার্থীদের অবস্থান একটানা ৭০০ দিন এবং সংগ্রামী যৌথমঞ্চের অনশন চলা সত্ত্বেও সরকার তাদের ন্যায্য দাবিতে কর্ণপাত করছে না।