চিকিৎসার নিদান দেবেন এবার মন্ত্রী-আমলারা কালা দিবস পালন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের

২৫ সেপ্টেম্বরকে কালা দিবস ঘোষণা করে কালো ব্যাজ ধারণ করে কাজ করলেন সারা দেশের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। ২৪ সেপ্টেম্বর এক গেজেট নোটিফিকেশনের জোরে কলমের এক খোঁচায় ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে মেডিকেল শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে নিয়ামক সংস্থা কাজ করে চলছিল তাকে ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। এর ফলে সমস্ত রাজ্যের চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বদলে ডাক্তারি শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসার নিয়ন্ত্রণ চলে গেল সরকারি অফিসার ও মন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণাধীন ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের হাতে। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন জীবন বাজি রেখে কোভিড-১৯ মহামারি রোধে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন, ঠিক সেই সময় তাঁদের উপর এই আক্রমণ নামিয়ে আনল বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার।

আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে দেশের অধিকাংশ চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ছাত্ররা ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের নামে কর্পোরেটমুখী চিকিৎসা ও ডাক্তারি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে মেডিকেল শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি দেশি-বিদেশি পুঁজি-মালিকদের কুক্ষিগত হবে। এই ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন আইন শুধু চিকিৎসাবিরোধী নয়, পুরোপুরি জনবিরোধী। মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বিজ্ঞান বেরা এই জনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমস্ত চিকিৎসক, ডাক্তারি ছাত্র, গবেষক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

এআইডিএসও-র পক্ষ থেকেও ২৫ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এর ফলে ছাত্রদের জন্য আকাশছোঁয়া ফি-বৃদ্ধি ঘটবে, মেডিকেল শিক্ষা এবং চিকিৎসা পুরোপুরি বেসরকারি পুঁজি-মালিকদের কুক্ষিগত হবে। এর বিরুদ্ধে এবং সর্বনাশা জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এআইডিএসও।

(ডিজিটাল গণদাবী-৭৩ বর্ষ ৭ সংখ্যা_২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০)