কী পেয়েছি দাঙ্গা থেকে, কী দিয়েছে দাঙ্গা

কথাগুলি কুরে কুরে খাচ্ছে অশোক পারমার আর কুতুবউদ্দিন আনসারিকে। প্রথম জন ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার মারমুখী যুবক, দ্বিতীয়জন হাতজোড় করে প্রাণভিক্ষার কাতর আবেদন জানাচ্ছেন তার সামনে। বীভৎস সে দৃশ্য সংবাদমাধ্যমের দৌলতে যারা দেখেছেন, শিউরে উঠেছেন। এবারের দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই কুতুব বলেন, ‘দাঙ্গা কী দেয়? পারস্পরিক অবিশ্বাস! দিল্লিতে দেখছেন না? সব কিছু ভেঙে, পুড়িয়ে ভাল থাকা যায়? মানুষ যদি মানুষকে বিশ্বাস না করে, কে করবে?’ আর অশোকের প্রতিক্রিয়া, ‘ সকলের কাছে আবেদন, বিদ্বেষ আর ঘৃণার রাজনীতির ফাঁদে পা দেবেন না। দাঙ্গার মতো ভয়ানক আর কিছু হয় না।’ কুতুব সেলাইয়ের কাজ করেন, অশোকের জুতোর দোকান। নাম ‘একতা চপ্পল হাউস’। অশোকের কথা, ‘ভুল রাজনীতির শিকার হয়েছিলাম। সারা জীবন আফশোস করতে হবে। শান্তি রাখুন। শান্তিতে থাকুন।’ আর কুতুবের কথা– ‘ কেউ যেন আর ভুল রাজনীতির শিকার না-হন।’ (আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৯ ফেব্রুয়ারি)

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ৩০ সংখ্যা)