ঐতিহাসিক ছাত্রশহিদ দিবসকে ‘পুলিশ দিবস’ ঘোষণা, তীব্র প্রতিবাদ এআইডিএসও-র

১ সেপ্টেম্বর ছাত্র শহিদ দিবসকে পুলিশ দিবস হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে ধিক্কার জানিয়ে এআইডিএসও-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক ১৮ আগস্ট এক বিবৃতিতে বলেন, এই সিদ্ধান্ত শুধু সরকারের অগণতান্ত্রিক মনোভাব নয়, চূড়ান্ত স্বৈরাচারী চরিত্রকেও সামনে আনল। মানুষ জানেন, ১৯৫৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর খাদ্য আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে আয়োজিত ছাত্রদের মৌনমিছিলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়ের কংগ্রেস সরকারের পুলিশ নির্মম গুলি চালিয়ে ৮ জন ছাত্রকে হত্যা করে। এই ঘৃণ্য ঘটনার পর থেকে ওই দিনটি প্রতিবছরই ঐতিহাসিক ছাত্রশহিদ দিবস হিসেবে পালন করে চলেছে এ রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয় ছাত্রসমাজ। পশ্চিমবঙ্গের গণআন্দোলনের ইতিহাসে এই ঘটনা একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে মানুষ মনে রেখেছে। মানুষ দেখেছে পুলিশ-প্রশাসন বরাবরই শাসক দলের পক্ষে দাঁড়িয়ে জনসাধারণের ন্যায়সঙ্গত গণআন্দোলন দমনে ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করে থাকে। পুলিশের লাঠি-গুলিতে অসংখ্যবার রক্তাক্ত হয়েছে এ দেশের রাজপথ। এতদসত্তে্বও মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে পুলিশের ভূমিকাকে প্রশংসা করে ১ সেপ্টেম্বর দিনটিকেই ‘পুলিশ দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা করলেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এতে পুলিশের সেই কলঙ্কিত নৃশংসতাকেই বর্তমান তৃণমূল সরকার প্রকাশ্যে স্বীকৃতি দিল। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি এবং সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ১ সেপ্টেম্বর এই ঘোষণা অবিলম্বে বাতিল করা হোক। পাশাপাশি আমরা ছাত্রসমাজের কাছে ওই দিনটি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ঐতিহাসিক ছাত্রশহিদ দিবস পালনের মাধ্যমে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

(ডিজিটাল গণদাবী-১৫_২০ আগস্ট, ২০২০)