আবাস যোজনায় জালিয়াতি (পাঠকের মতামত)

ফাইল চিত্রঃ পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক

গণদাবীর ৭৫-২২ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘আবাসে বরাদ্দ সামান্য…তৃণমূলের দুর্নীতি’ লেখা পড়ে ভাল লাগল। তবে একটি বিষয়ে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

আবাস প্লাস প্রকল্পে বঞ্চিত প্রান্তিক মানুষ কী ভাবে সরকারি দলের ও প্রশাসনের জালিয়াতির শিকার হচ্ছে দেখুন– আবাস প্লাস প্রকল্পের তালিকা প্রস্তুতিতে প্রকৃত প্রাপকদের নাম বাদ দিয়ে যে ভাবে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তা ষড়যন্ত্রমূলক ও ন্যক্কারজনক। স্বজনপোষণ-দুর্নীতি ও দলবাজির এর থেকে বড় উদাহরণ খুব বেশি নেই। যাঁদের ছাদযুক্ত পাকা বাড়ি আছে এবং সে কারণেই নাম উপভোক্তা তালিকায় কোনওভাবেই থাকার কথা নয়, তাদের নাম আছে। অথচ যাদের বাস্তবে মাথা গোঁজার উপযুক্ত আস্তানা নেই তাদের নাম বাদ পড়েছে। শুধু কি তাই? যার নাম উপভোক্তা তালিকায় আছে (ক্রমিক নম্বর এবং আইডি নম্বর সহ) সেই উপভোক্তা ঘর পাচ্ছেন না। কারণ তাঁকে না জানিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীদের যোগসাজশে তার জবকার্ড নম্বর অন্য উপভোক্তার নামে ব্যবহার করা হয়েছে। শাসকদলের মাতব্বর কিংবা গ্রামীণ প্রভাবশালীদের বারবার ঘরের টাকা পাইয়ে দিতে এই ব্যবস্থা। এই কারসাজি প্রধান এবং পঞ্চায়েত কর্মীরাই করতে পারে, অন্য কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়। এ কাজ টাকার বিনিময়ে ছাড়া হতে পারে কি?

এই পরিস্থিতিতে দাবি তোলা দরকার–১) অবিলম্বে আবাস প্লাস প্রকল্পে প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, ২) যাদের নাম কোনওভাবেই তালিকায় থাকার কথা নয়, রাজনীতির রঙ না দেখে তালিকা থেকে তাদের বাদ দিতে হবে, ৩) অবিলম্বে আবাস প্লাস প্রকল্পের বাতিল তালিকা কারণ সহ প্রকাশ করতে হবে, ৪) যে সমস্ত উপভোক্তাদের জবকার্ড নম্বর অন্যায় ভাবে অন্য প্রাপকদের সাথে জুড়ে দেওয়ায় তারা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ৫) আশা বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নয়, উপযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে এই যাচাইয়ের কাজ করতে হবে।

জ্ঞানতোষ প্রামাণিক, দক্ষিণ ২৪ পরগণা