আন্দোলনের চাপে ঘাটালে নদী ও খাল সংস্কার শুরু

 

 

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সংগ্রাম কমিটি নদী ও খাল সংস্কারের দাবিতে বহু বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের ফলে মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত দুর্বাচটি, ক্ষীরাই-বাকসি, নিউ কাঁসাই, চন্দ্রেশ্বর, গোমরাই, পায়রাশি প্রভৃতি নদী ও খালগুলি রাজ্য সেচ দপ্তরের অর্থে চলতি বছরে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৫টি ব্লকে বন্যার প্রকোপ অনেকটা কমবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত। তবে লক্ষণীয় বিষয় হল সোনার বাংলা গড়ার দাবিদার কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার এই প্রকল্পে অর্থ মঞ্জুর করেনি। রাজ্য সেচ দপ্তরের বাজেটের টাকায় ২০১৮ সালে ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পলাশপাই নদী সংস্কার হয়েছিল। পরবর্তী ধাপে ২০২০ সালে ২৬.৫ কিমি দীর্ঘ দুর্বাচটি ও ২১ কিমি দীর্ঘ নিউ কাঁসাই (নিম্নাংশ) নদী এবং ২৬.৭ কিমি দীর্ঘ ক্ষীরাই-বাকসী বেসিন স্কিমের অন্তর্গত খাল ও ১৪ কিমি দীর্ঘ চন্দে্রশ্বর, ৮ কিমি দীর্ঘ পায়রাশি, ৪ কিমি দীর্ঘ গোমরাই খালগুলি প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমানে জোরকদমে সংস্কারের কাজ চলছে। কংসাবতী সংলগ্ন উপরোক্ত নদী ও খালগুলি পূর্ণ সংস্কারের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, ময়না এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ও ২ ব্লক এলাকার বন্যা সমস্যা অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান–বন্যার প্রকোপ কমার পাশাপাশি রূপনারায়ণের জলে এলাকার ধান-ফুল-সবজি চাষেরও উপকার হবে।

সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক ও দেবাশিষ মাইতি বলেন, নদী ও খাল সংস্কারের ওই কাজকে আন্দোলনেররই জয়। তাঁদের দাবি স্কিমটির পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণ যতদিন না হচ্ছে, ততদিন ধাপে ধাপে নিকাশি নদী ও খালগুলি পূর্ণ সংস্কার করতে হবে। পরবর্তী ধাপে শিলাবতী নদী খনন ও ওই সংলগ্ন কেটিয়া নদী ও তার শাখা খালগুলি সংস্কার এবং চন্দ্রেশ্বর খালকে শিলাবতী নদীর সাথে যুক্ত করার দাবি সম্প্রতি সেচ দপ্তরের আধিকারিকের কাছে জনানো হয়েছে।