আত্মসমীক্ষা

বর্তমান সমাজে আমরা দেখতে পাই নারী নির্যাতনের পরিমাণটা বেশি হয়ে গেছে৷ তা যে কারণেই হোক না কেন৷ বর্তমানে মানুষ যে হারে মোবাইল ফোনের অপব্যবহারে সমর্থ্য, ২০–২৫ বছর আগে তা ছিল না৷ বিজ্ঞান ক্রমশ উন্নত হচ্ছে৷ এতে যেমন সুফল হচ্ছে তেমনই কুফলও দেখা দিচ্ছে৷ বলা ভাল  বিজ্ঞানকে কুপথে চালিত করা হচ্ছে৷ ব্লু–ফিলম থেকে শুরু করে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি মানুষের মনকে ক্রমাগত বিষাক্ত করে তুলছে৷ এর জন্য শুধু কি সরকারকে দায়ী করা চলে?  জনসমাজের কি কোনও হাত নেই এর মধ্যে? সরকার ক্রমাগত ঢালাও মদের লাইসেন্স ও ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি দেখার অবাধ সুযোগ–সুবিধা করে দিচ্ছে৷ জনসমাজও দেখছে৷ এতে অনেকেই কুপথে এগোচ্ছে৷

আজকাল পত্রিকা খুললেই ধর্ষণের খবর আমাদের চোখে পড়ে৷ এর পিছনে অন্যতম কারণ মোবাইল৷ আমাদের সুন্দর জীবনকে বিষাক্ত পথে নিয়ে যাওয়ার এটি একটি শক্তিশালী মাধ্যম৷

আমাদের এই ভারত বহুকাল থেকেই দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে চলে আসছে৷ এই দারিদ্রের যন্ত্রণা কেউ কেউ সহ্য করতে না পেরে কুপথগামী  হতে বাধ্য হয়৷ এর প্রতিকার হিসাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি দেখানো বন্ধ করা দরকার৷ চাই বিচার বোধ৷ শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসটি গ্রহণ করব এবং অপ্রয়োজনীয়  জিনিসটা  বর্জন করব এই বিচার বোধ থাকা চাই নারী–পুরুষের৷ তা যদি না হয় তা হলে সমাজের তথা দেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে৷

ঐশী ভট্টাচার্য

শ্রীরামপুর, হুগলি

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ২ সংখ্যা)